Wednesday, April 18, 2018

তোমরা শুনবে?

নদীর আদৃত নিয়তি বয়ে চলা।
সে বিনা আয়াসেই হোক বা বহুল প্রয়াসে,
দারুণ তরাসেই হোক বা ঈষৎ আভাসে,
অন্তঃসলিলা কিম্বা আন্তঃসলিলা।

সুখে বয়ে চলা, শোকে বইয়ে চলা।

কিন্তু সভ্যতা এই গতির বন্দন বরদাস্ত না করে তাকে বন্দিনী বানাবার প্রচেষ্টায় অনুপল খামতি রাখেনা।
আর গোলটাও তখনই বাধে যখন বাঁধের বাঁধনে সে আর কোনো মতেই এক লহমাও বাঁধা থাকেনা।

তীব্র বয়ে চলা, তীক্ষ্ণ বইয়ে চলা।

সভ্যতা আদতে পৌরুষত্ত্বের এক উড্ডীয়ান ঝান্ডা বৈ আর কিছু তো নয়,
কিন্তু  নদীও যে আদ্যোপান্ত নারী। আর নারী মাত্রেই যে সে রাধারানী হয়।

টানে বয়ে চলা, প্রাণে বইয়ে চলা।

জগতের কোনো আয়ান ক্ষমতা ধরেনি কক্ষনো বৃষভানু কন্যা কে রোখার।
পার্থিব শিকলি কে অপার্থিব টিকলি বানিয়ে বিনোদিনী চির দুর্নিবার।

উড়িয়ে বয়ে চলা, তুড়িয়ে বইয়ে চলা।

তারপর একদিন কানু নদ চলে মথুরায়,
নদীটিরও স্রোত তিলে তিলে হয় অধরা।

অভ্যস্ত বয়ে চলা, একঘেয়ে বইয়ে চলা।

আজ নদ ও নদীর গল্প বলবো , শুনবে?

বয়সের ভারে ন্যুব্জ শরীর শুকনো
মনের আঙিনা পিয়াসী বড্ড রুগ্ন।
স্রোতস্বিনীর জিয়ন ও যাপন যোবনে
স্মৃতির উজানে বৈঠা বাইবো সৃজনে।

আমি যদি বলি, বলোনা তোমরা শুনবে?

No comments:

Post a Comment