Monday, April 23, 2018

#নিলাজীরজীয়নকথা৪

#নিলাজীরজীয়নকথা৪
...আজকাল আর লাজী বললে চিনতে চায়না আশপাশটা। লাজবন্তী আশি শতাংশেই "থুঃ! নিলাজবতী, ওই নষ্ট মেয়েটা!"

"ভাতারখাগী নৃশংস এক কূট প্রেত সর্বনাশী।
ওর স্তন্যে লালিত হলে সন্তান হয় জগৎনাশী।"

সই তার সেই চরবৈষ্ণবী, ঠাণদি আর গোমস্তা দাদা, আধেক লড়াই এরা লড়ছে ওরাই, তার ভাগেতে বাকি আধা।

"হাজতবাস তো এক কাজীর বিচার, বিচারালয় তো আরোও আছে। আমার লাজী গিয়ে দাঁড়াবেই আরোও বড়ো কাজীর কাছে।"

যুদ্ধ যাপন রুদ্ধ যাপন, সে যে প্রতি মুহুর্তেই তিরস্কৃত। খোকার জীবন থেকেও লাজী, মায়ী আজকে বহিস্কৃত।

দিন এগোয় মাস বছরে, লড়াই পিঠে মেয়ে এগোয়। এইভাবেই এক ভোরেতে শ্রেষ্ঠ কাজীর বিচার ছিনোয়।

"নিষ্কলুষ নিষ্পাপ এই লাজবন্তী, কোনও মতেই খুনী নয়। ওর প্রাণের দোসর নিকেশকারী, তারা সেই তাঁরই বন্ধুস্বজন হয়।"

সেদিন ঊষা পূর্বাচলে উদ্ভাসিত দিক চক্রবাল। লাজী নাহ্, লাজবন্তী দাঁড়ালো এসে খুনখারাপি জড়িয়ে লাল।

নিলাজবতী এই নামেতেই ডাকুক আমায় সকলেতে।     
আর আমি বাঁচবো না এই লাজ শেকলের বাঁধনেতে।

ঘর গিয়েছে, বর গিয়েছে, সন্তানওতো গিয়েছে আর। গোটা জগত আর্তজনের সুহৃদ বন্ধু আজকে তার।

সেই এক বাঁশরী সঙ্গী নিয়ে নতুন পথে হাঁটছে যে। যেথায় যতো বিচার আর্ত তাদের জন্য লড়ছে সে।

বাঁশিদেওয়া গাঁয়ের মেয়ে লাজবন্তী নিলাজবতী, সুর শোনায় রণক্লান্তে, "থামলে কেন? চলো জিতি!"

No comments:

Post a Comment