Monday, April 23, 2018

#নিলাজীরজীয়নকথা২

#নিলাজীরজীয়নকথা২
...নিলাজবতী তো আমরা ডাকি, বাপে ডাকতো লাজীয়া মা। আঁতুরঘরে মা হারিয়ে , বাপসর্বস্ব লাজানিয়া।

ঠাণদি আর বাপে মিলে পালছে তাদের বুকের ধন। গহীন রাতে বাপের বীণায় ছোট্ট খুকির মনকেমন।

লাজী এখন কেবল কুঁড়ি,  গাঁয়ের বৌ ঝি চোখে হারায়। খেলে বেড়ায় আগান বাগান,  ঝিলের পাড়ে খিলখিলায়।

এমন দিনে এক বিকেলে কনে দেখা আলোর ভীড়ে, লাজীর সাথে চোখাচোখি এক পান্থজনের নদীর তীরে।

ওঠ ছুঁড়ি তোর বিয়ে আজই, শুভদায় এলো লাজীর বর। গাছকৌটো আর গাঁটছড়া তে, চললো মেয়ে  শ্বশুরঘর।

শউর ভালোই লাজীর ভালে, শাউড়ি কেবল একটু পর। সবচে' মিঠে সবচে' কাছের সে হলো গে লাজীর বর।

বর তো থাকে বিদেশ বিভুঁই, মেয়ে তুই শাউড়ি ঠেলা কারে ক'বি?
লাজীর সাথে সই পাতালো সে দিগরের এক চরবৈষ্ণবী।

সুয্যি জাগে ফের পাটায় বসে, কপালে মেয়ের মেঘ ঘনায়। বাপের শরীর খারাপ বড়ো, কিন্তু শাউড়ি দোরে শিকলি দেয়।

বাপের বুকে জমাট কষ্ট, লোকমুখে নাম শ্বাসের ব্যারাম। মেয়ের মুখটা না দেখিয়েই ঠাউর লিখলেন চির আরাম।

তোমাদের চোখ জল চুঁইছে, হৃদ মাঝারে ছলাৎছল। এই গল্পের পরের অংশ বলবো আবার কাল সকাল।

No comments:

Post a Comment