Thursday, April 19, 2018

পাপস্খালন

হৈমন্তিক কুয়াশায় শরীর জড়িয়ে ভোর ,
সুভদ্র বাবুর মোড়কে আলপথে আমি ,
একলাটি হাঁটছিলাম ।
ঘাড়গোঁজা কলম পেশা জীবন থেকে
আলগোছে দু চারটি দিন সরিয়ে
কোনও এক গণ্ডগ্রাম ।
সরষের সবুজ শরীরে হলুদ ওষ্ঠ ,
শিশিরে টলটল ।
তার গালিচায় একটি দেহাতি শরীর স্পষ্ট
লাবণ্যে ঢলঢল ।
দেখলাম !
কোনও নিমন্ত্রন ছিলনা মেয়েটির চোখে ,
তবু নিজেকে আমন্ত্রিত ভাববার হিলহিলে
সাধ হোলো !
আগ্রাসী চোখে উঁকি দিয়ে গেলো খাজুরাহো ।
মনের ক্যানভাসে ঝলসে উঠলো হেমেন বাবু ।
শরীর এগিয়ে গেলো !
নিজেকে দাহক ভাবতে ভাল লাগছিলো ,
ভোরের ভেজামাটি পোড়াতে চাইছিল
আশ্লেষ ইপ্সা !
আমার ভেতরের শীত ঘুম থেকে
দাঁত নখ শানিয়ে আড়মোড় ভাঙল
আসঙ্গ লিপ্সা !
আমিত্ব মুছে শরীর অবাধ্য ঘোড়া হোলো ।
হটাৎ
মুখের উপর যেনও চাবুক আছড়ালো !
"হেই দাদা গ ,ইত্ত ভোরে তু বাইরে ?
জাড় লাগবে তুর ,
ফিরে যানা কেনে ঘরে" ।
থরথর করে কাঁপলাম
ঝরঝর দুচোখ ভিজল
আমার দিকে অপাপবিদ্ধ চেয়ে
মেয়েটি মায়ের মতো হাসলো !
কুঁকড়ে যাওয়া আত্মা
বিবেকে অনুমতি চাইল ,
মেয়েটিকে একবার
দাদা হয়ে বুকে নি ,
লুকনো সব গ্লানি
গঙ্গায় ধুয়ে নি ।
আবার মানুষ হয়ে
প্রিয় মানুষী টি আঁকড়ানোর
যোগ্যতা টুকু চেয়েনি ।
কিন্তু ও মেয়ে তো চলে গেলো ।
পাপস্খালন হয়নি পুরোপুরি !

No comments:

Post a Comment