Wednesday, April 18, 2018

বুঝে নিলাম

ছফুট নাকি আটফুটই হবে কে জানে গলিটার একপাশে আমার ঘর, অন্যপাশে তাঁর।
আমার মাথার দিকটায় জানলা বরাবর, তাঁর পায়ের দিকটায় খুবসম্ভব।
কাল অবধি আমার বিছানায় আমি শুয়েছি, তাঁর বিছানায় তিনি।
আমি ঘুমের ঘোরে শুনতাম অস্বাভাবিক অস্বস্তিকর সুরের শব্দদের, আর তাতে ঘুম টা ভেঙে গেলে বুঝতাম তিনি কাঁদছেন যন্ত্রনায়।
আজও আমার বিছানায় আমি শুয়েছি, আর তাঁর বিছানায় ...
তিনি আজ শায়িতা।
নিবাত, নিষ্কম্প, নিঃসাড়, নিশ্চুপ।
আজ থেকে আর কোনরাতেই আমার ঘুম চটকে যাওয়া নিত্যদিনের তাঁর কান্না শুনতে হবেনা আমায়।
বড়ো আরামে ঘুমোনো যাবে যাহোক।
কিন্তু, ঘুম টা আসছেই না, জানেন?
ওই অস্বাভাবিক অস্বস্তিকর শব্দেরা অদ্ভুতভাবে নিজেদের মতো করেই কিসের যেন একটা অস্তিত্বের জানান দিতো, বড়ো আরামদায়ক উষ্ণ চেনা কিছুর।
আর আজ বিরক্তিকর শান্ত শব্দ শুণ্যতারা নির্মমভাবে নিজেদের মতো করেই জানান দিচ্ছে কিসের যেন একটা অস্তিত্বের , বড়ো কষ্টকর হিমেল অচেনা কিছুর।
কি তারা?
প্রাণ! নিষ্প্রাণ!
আচ্ছা, এর ঠিক উল্টো টাও তো ঘটতে পারতো, তাইনা?
জাষ্ট থাকা না থাকার অদলবদল হতো ঘরদুটিতে।
প্রাণ এর! নিষ্প্রাণ এর!
তাঁর এবং আমার।
আসল সত্যিটাতো এটাই যে,
ছফুট নাকি আটফুটই হবে, জীবন মৃত্যুর মাঝের দূরত্ব!
আজ আক্ষরিক বুঝে নিলাম।

No comments:

Post a Comment