Wednesday, April 18, 2018

যাবে বস?

যে কোনও কিছুর জন্য মরে যাওয়া যাবে বস?
আপনাদের দ্বারা?
যেতে পারলে কিন্তু দিব্য হয়।

এই এই, ঘাবড়াবেন না।
ষোলো আনা নয়, অল্পস্বল্প, এই চার থেকে ছয় ছটাক আপনাদের মরে যেতে দেখতে আমার তোফা লাগবে।

আপাদমস্তক কুয়াশায় ঢাকা পড়ে গলিপথ যেমন হাত দশেক দূরে গিয়েই বেমালুম ঘুলেঘেলে মরে হেজে যায়।
ঠেকের আড্ডায় বা অফিসের ক্যান্টিনে টাটকা ব্রেকিং ট্র্যাজেডির যেমন চুকচুকে শোকগাথা দিয়ে শোকগাঁথা হয়।

ওই মানে আর কি আপাত ব্যাপার স্যাপার সব।

তার থেকে ইট্টুসখানি বাড়তি, ব্যস।

এই ধরুন না কেন, যেকোনো নিউজের তো রেগুলার ভিউয়ার আপনারা।
ঝালে ঝোলে চচ্চড়ি কিম্বা ডালে অম্বলে
প্রিন্ট হতে সোস্যাল সব মিডিয়া আপলোগের বগলে।
তা রোজ খবরের কাগজে পড়ে বা চ্যানেলে দেখে প্রত্যেক মৃত্যুর অনুষঙ্গে খানিক খানিক মরবেন নাকি?

শুরু করা যাক,
দৈনিক সংবাদপত্রের জোগানদার ছেলেটি থেঁতলে গেছে ভোরের বেপরোয়া ডাম্পারের বাঁ পাশের চাকার তলায়।
চলুন দিকি , ছোকরার জন্য দেড়দিন মৃত্যু পালন করে ফেলুন।
আরে কিচ্ছু না, ওর বাড়িতে গিয়ে হেঁপো রুগী বাপটার সাথে কাটিয়ে আসুন আট আর চারে বারো প্রহর।
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কিশোরীটি যাত্রীবোঝাই মোটর ভ্যান ওল্টানোয় লিভারে লোহার পাত গুঁজে পড়ে আছে।
নিন উঠুন, মেয়েটার জন্য দুইটি দিন মৃত্যু পালন করে ফেলুন।
এবারও
আরে কিছু না, ওর বাড়িতে গিয়ে ভাতারখাগী মা টার সাথে কাটিয়ে আসুন চব্বিশ দুগুণে আটচল্লিশ ঘন্টা।

বিমূর্ত জীবন্মৃত শব্দের বিমূঢ় অসহায় মূর্ততা।

মরে যাওয়া এরে বলে।
যাবেন নাকি ওমনি এক আধবেলা জেনুইন মরে?

প্লিজ ন্যাক্কারজনক ন্যাকামীগুলো বন্ধ করুন এইবার।

No comments:

Post a Comment