আচ্ছা, রেলপথে যে পাথর গুলো পড়ে থাকে ওদের নাম কি?
গ্রানাইট?
আমার ঠিক মনে পড়ছে না।
এরকমই আরোও বহুকিছুই আজকাল মনে পড়ছে না।
সে যাক, বয়স হলে ওরকম হয় টয়,
তো ওই পাথর যদি খুবরকম ধোয়া হয়,
অতিমাত্রায় ফ্যাকাশে হয়ে যায় তার রঙ,
তবেই যেন সে আজ সকালের আকাশ হওয়ার যোগ্যতা ধরে।
অনেকটা রক্ত রঙ আর মাছের কানকো ধোয়া জলের রঙে যেমন মিলমিশ ফারাক,
এও তেমনই।
মনে পড়েছে! স্টীল-গ্রে বলে ওকে।
দোতলায় ক্লাস টেনের ঘরে ছিলাম।
দরজা দিয়ে বেরিয়ে
ঘসটানি বারান্দা গড়িয়ে
আধখানা বিধবাবর্ণের দেওয়াল বেয়ে
ছাঁকনি ছাঁকনি কালচে সবুজ তারজালি গ্রীল গলে
যে আকাশে দৃষ্টি রাখলো চোখ তা যেন ওই স্টীল-গ্রে রঙের ইগলুর ভিতর ছাদ।
অত্যন্ত বিষন্নমনস্ক।
রোদ্দুর তো পুরো এলাকা জুড়ে আনতাবড়ি গুলে ঘ্যালঘ্যালে করে ঢেলে দেওয়া সানরাইজ হলুদ গুঁড়ো।
ম্যাটম্যাটে ছ্যাঁকড়া।
মধ্যে মধ্যে ফ্যাটফ্যাটে ঘিরঙা জমাট পূঁজ বসা ঘা ওয়ালা ক্লিষ্ট সবজে মাঠটায় চরছে ধ্যুর খুঁটোবাঁধা ঠায় খাড়া দুটো কালো রোগা একঘেয়েমি শরীরের খিদে পাওয়া ঘোড়া।
যন্ত্রণাময় স্থৈর্য।
পরিসীমার ফ্ল্যাটগুলোয় জঘন্য ক্যাটক্যাটে রঙ মাড়ি বের করে দেঁতো আলাপ উদ্দেশ্যে হ্যালহ্যালে অঙ্গ ভঙ্গীমায় দাঁড়িয়ে।
অপসৃয়মান ব্যক্তিগত ব্যক্তিত্ব।
পুরুষ মহিলা কিল্লিবিল্লি সব বিভাগের বিভিন্ন বয়সী স্যাঁতস্যাঁতে ন্যাতানো আবরণ ঝুলছে স্ট্রীং এর কটকটে দড়িতে।
অবিবেচনাপ্রসূত অশ্লীলতা।
কি বিরক্তি কি বিরক্তি কিলবিলিয়ে উঠছে কানের পাতার পিছন বেয়ে।
এতো বিশ্রী চারপাশটা!
এতো ভীষণ রকম গায়ে পড়া ধরনের চ্যাটচ্যাটে খেজুরী আঁশটে আশপাশ!
হটাৎ মনে হতে শুরু করলো, দম বন্ধ হয়ে আসছে।
ইস্পাত-ধূসর ইগলু ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হচ্ছে, চেপে বসছে আকাশটা হিংস্র রকম শক্ত হয়ে বাড়ি ঘর ইশকুল মাঠ গাছগাছালিতে।
ঘোড়াগুলোর এবং আমাদের কারো কারো ব্রহ্মতালু পেষণে কাহিল ও নিস্তেজ হয়ে আসছে।
...
ধ্যুস্! এসব কিস্যুই হচ্ছিল না।
আমার জ্বর আসছিল কেবল।
তাড়সে ধরনের জ্বর যা কেবল অভিমানে আসে, ক্ষোভে আসে, ভয়ে আসে।
পরিপার্শ্বের আচরণে অভিমান।
প্রগতির আচরণে ক্ষোভ।
প্রকৃতির আচরণে ভয়।
পরিশীলিত শব্দটি খুব দ্রুত নিভে যাবে বোধ হয়
...
যাক, বলুনতো, কেমন আছেন সব্বাই?
গ্রানাইট?
আমার ঠিক মনে পড়ছে না।
এরকমই আরোও বহুকিছুই আজকাল মনে পড়ছে না।
সে যাক, বয়স হলে ওরকম হয় টয়,
তো ওই পাথর যদি খুবরকম ধোয়া হয়,
অতিমাত্রায় ফ্যাকাশে হয়ে যায় তার রঙ,
তবেই যেন সে আজ সকালের আকাশ হওয়ার যোগ্যতা ধরে।
অনেকটা রক্ত রঙ আর মাছের কানকো ধোয়া জলের রঙে যেমন মিলমিশ ফারাক,
এও তেমনই।
মনে পড়েছে! স্টীল-গ্রে বলে ওকে।
দোতলায় ক্লাস টেনের ঘরে ছিলাম।
দরজা দিয়ে বেরিয়ে
ঘসটানি বারান্দা গড়িয়ে
আধখানা বিধবাবর্ণের দেওয়াল বেয়ে
ছাঁকনি ছাঁকনি কালচে সবুজ তারজালি গ্রীল গলে
যে আকাশে দৃষ্টি রাখলো চোখ তা যেন ওই স্টীল-গ্রে রঙের ইগলুর ভিতর ছাদ।
অত্যন্ত বিষন্নমনস্ক।
রোদ্দুর তো পুরো এলাকা জুড়ে আনতাবড়ি গুলে ঘ্যালঘ্যালে করে ঢেলে দেওয়া সানরাইজ হলুদ গুঁড়ো।
ম্যাটম্যাটে ছ্যাঁকড়া।
মধ্যে মধ্যে ফ্যাটফ্যাটে ঘিরঙা জমাট পূঁজ বসা ঘা ওয়ালা ক্লিষ্ট সবজে মাঠটায় চরছে ধ্যুর খুঁটোবাঁধা ঠায় খাড়া দুটো কালো রোগা একঘেয়েমি শরীরের খিদে পাওয়া ঘোড়া।
যন্ত্রণাময় স্থৈর্য।
পরিসীমার ফ্ল্যাটগুলোয় জঘন্য ক্যাটক্যাটে রঙ মাড়ি বের করে দেঁতো আলাপ উদ্দেশ্যে হ্যালহ্যালে অঙ্গ ভঙ্গীমায় দাঁড়িয়ে।
অপসৃয়মান ব্যক্তিগত ব্যক্তিত্ব।
পুরুষ মহিলা কিল্লিবিল্লি সব বিভাগের বিভিন্ন বয়সী স্যাঁতস্যাঁতে ন্যাতানো আবরণ ঝুলছে স্ট্রীং এর কটকটে দড়িতে।
অবিবেচনাপ্রসূত অশ্লীলতা।
কি বিরক্তি কি বিরক্তি কিলবিলিয়ে উঠছে কানের পাতার পিছন বেয়ে।
এতো বিশ্রী চারপাশটা!
এতো ভীষণ রকম গায়ে পড়া ধরনের চ্যাটচ্যাটে খেজুরী আঁশটে আশপাশ!
হটাৎ মনে হতে শুরু করলো, দম বন্ধ হয়ে আসছে।
ইস্পাত-ধূসর ইগলু ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হচ্ছে, চেপে বসছে আকাশটা হিংস্র রকম শক্ত হয়ে বাড়ি ঘর ইশকুল মাঠ গাছগাছালিতে।
ঘোড়াগুলোর এবং আমাদের কারো কারো ব্রহ্মতালু পেষণে কাহিল ও নিস্তেজ হয়ে আসছে।
...
ধ্যুস্! এসব কিস্যুই হচ্ছিল না।
আমার জ্বর আসছিল কেবল।
তাড়সে ধরনের জ্বর যা কেবল অভিমানে আসে, ক্ষোভে আসে, ভয়ে আসে।
পরিপার্শ্বের আচরণে অভিমান।
প্রগতির আচরণে ক্ষোভ।
প্রকৃতির আচরণে ভয়।
পরিশীলিত শব্দটি খুব দ্রুত নিভে যাবে বোধ হয়
...
যাক, বলুনতো, কেমন আছেন সব্বাই?
No comments:
Post a Comment