মাথার মধ্যে অবিশ্রান্ত অসহ্য ঝাঁকুনির শুরুটা অগ্নিকোণের শিউলিতলায় আঁধার বসার কিছু পর থেকেই।
ঠিক যেন একতাল গলগলে হলদে লাভা ঘুলিয়ে ঘুলিয়ে ঝাপটা ঘাই মারছে কপালের পাঁচিলে।
কি যেন ঠেলে গুঁতিয়ে এক্ষুণি বেরোতে চাইছে বোধের জগত থেকে,
জবরদস্তি ঘাঁটি খানা গাড়তে চাইছে সাদাপাতার অতিবাস্তব দুনিয়ায়।
ঠকঠক করে কাঁপছে আঙুলগুলো অক্ষরের তাড়নায়।
কি লিখবো এখনো জানিনে।
বিষাদনীলিমাকে ধীরে ধীরে থাবায় পুরছে কৃষ্ণকুটিল মেঘেদের জান্তব খিদে।
আমায় থাবায় পুরছে এতোকাল অজান্তেই সযত্নলালিত স্বার্থদীর্ণ ভুলেরা।
লিখলে হবে, লিখতে হবে বিড়বিড় করতে করতে লেখার টেবিলের সামনে এলেম।
শুয়ে আছে সাঙাৎদ্বয়।
একটি ঝর্ণা কলম আর তুলট কাগজের বাঁধানো খাতা।
কলমটাকে ডান মুঠোয় ধরে উল্টো হাতের আঙুল তিনেকের সাহায্যে ঢাকনিটা উপড়ে নিতেই সেকি বীভৎসতা!
নাকে মুখে গলায় মাখামাখি একেবারে!
গাঢ় নীল বমি।
কিছুটা শুকিয়ে গেছে আর খানিকটা দস্তুরমতো টাটকা।
কলমটা কি খুবকিছু দুখি আজকাল?
সেও কি উগরোতে চেয়েছে খানিক অনাহত নাদের অব্যক্তধ্বনি?
আর যন্ত্রনা তো নীলই হয়, তাইনা?
বড়ো আদরে সংবেদী আঙুলের ডগায় মুছতে চাইলাম দোসরের দুঃখ।
অবুঝ অভিমান তার ঝটকানি দিলে।
"কেন গেলে বলো? বলো কেন ভালোবাসলে? কেন বলো এতো যাতনা সইলে?"
তীক্ষ্ণ করাত হাঙরের মতো ঠোঁট তার ঘ্যাঁচ করে ঢুকে গেলো আঙুলটার মুক্তোখচিত কোমরবন্ধনীর সামান্য উপরে।
প্রতিস্পর্ধা দেখাতেই পারতাম।
ছুঁড়ে তাকে ফেলে দিতেই পারতাম প্রতিবর্ত প্রতিক্রিয়ায়।
"থাম তুই! আমার যাপনের কৈফিয়ত তলব করিস, এতো স্পর্ধা তোর! যা করেছি বেশ করেছি!"
কিন্তু সেসব কিচ্ছুটি করলাম না আমি।
ইচ্ছেরা ওপথে গেলো না।
থির বিজুরির মতো কম্পমান আহত আঙুলেরা আঁকড়ে রইলো হাউহাউ করে ডুকরে ওঠা কলমের গ্রীবা।
আহত তর্জনীর গায়ে জড়িয়ে থাকা গুমগুমে নীল যন্ত্রণা মিশে গেলো ক্যাটক্যাটে লাল কষ্টের শরীরে।
নিপীড়িত অবমানিত অস্তিত্বের অদ্ভুতুড়ে এক বিনির্মাণ নিষিক্ত করলো আপাত তরলিত এই যাতনার যৌথ নির্মাণ।
আর আহত তর্জনীর সেই জীয়ন মথিত অভিব্যক্তি তর্জমা করে কি পেলেম আমি?
নীলা ।।
এ নাকি সবার সয়না!!!
যাই, লিখতে বসি এইবার...
ঠিক যেন একতাল গলগলে হলদে লাভা ঘুলিয়ে ঘুলিয়ে ঝাপটা ঘাই মারছে কপালের পাঁচিলে।
কি যেন ঠেলে গুঁতিয়ে এক্ষুণি বেরোতে চাইছে বোধের জগত থেকে,
জবরদস্তি ঘাঁটি খানা গাড়তে চাইছে সাদাপাতার অতিবাস্তব দুনিয়ায়।
ঠকঠক করে কাঁপছে আঙুলগুলো অক্ষরের তাড়নায়।
কি লিখবো এখনো জানিনে।
বিষাদনীলিমাকে ধীরে ধীরে থাবায় পুরছে কৃষ্ণকুটিল মেঘেদের জান্তব খিদে।
আমায় থাবায় পুরছে এতোকাল অজান্তেই সযত্নলালিত স্বার্থদীর্ণ ভুলেরা।
লিখলে হবে, লিখতে হবে বিড়বিড় করতে করতে লেখার টেবিলের সামনে এলেম।
শুয়ে আছে সাঙাৎদ্বয়।
একটি ঝর্ণা কলম আর তুলট কাগজের বাঁধানো খাতা।
কলমটাকে ডান মুঠোয় ধরে উল্টো হাতের আঙুল তিনেকের সাহায্যে ঢাকনিটা উপড়ে নিতেই সেকি বীভৎসতা!
নাকে মুখে গলায় মাখামাখি একেবারে!
গাঢ় নীল বমি।
কিছুটা শুকিয়ে গেছে আর খানিকটা দস্তুরমতো টাটকা।
কলমটা কি খুবকিছু দুখি আজকাল?
সেও কি উগরোতে চেয়েছে খানিক অনাহত নাদের অব্যক্তধ্বনি?
আর যন্ত্রনা তো নীলই হয়, তাইনা?
বড়ো আদরে সংবেদী আঙুলের ডগায় মুছতে চাইলাম দোসরের দুঃখ।
অবুঝ অভিমান তার ঝটকানি দিলে।
"কেন গেলে বলো? বলো কেন ভালোবাসলে? কেন বলো এতো যাতনা সইলে?"
তীক্ষ্ণ করাত হাঙরের মতো ঠোঁট তার ঘ্যাঁচ করে ঢুকে গেলো আঙুলটার মুক্তোখচিত কোমরবন্ধনীর সামান্য উপরে।
প্রতিস্পর্ধা দেখাতেই পারতাম।
ছুঁড়ে তাকে ফেলে দিতেই পারতাম প্রতিবর্ত প্রতিক্রিয়ায়।
"থাম তুই! আমার যাপনের কৈফিয়ত তলব করিস, এতো স্পর্ধা তোর! যা করেছি বেশ করেছি!"
কিন্তু সেসব কিচ্ছুটি করলাম না আমি।
ইচ্ছেরা ওপথে গেলো না।
থির বিজুরির মতো কম্পমান আহত আঙুলেরা আঁকড়ে রইলো হাউহাউ করে ডুকরে ওঠা কলমের গ্রীবা।
আহত তর্জনীর গায়ে জড়িয়ে থাকা গুমগুমে নীল যন্ত্রণা মিশে গেলো ক্যাটক্যাটে লাল কষ্টের শরীরে।
নিপীড়িত অবমানিত অস্তিত্বের অদ্ভুতুড়ে এক বিনির্মাণ নিষিক্ত করলো আপাত তরলিত এই যাতনার যৌথ নির্মাণ।
আর আহত তর্জনীর সেই জীয়ন মথিত অভিব্যক্তি তর্জমা করে কি পেলেম আমি?
নীলা ।।
এ নাকি সবার সয়না!!!
যাই, লিখতে বসি এইবার...
No comments:
Post a Comment