Wednesday, April 18, 2018

নিশ্চুপের বাক্যালাপ

ধরে নে পূর্ণা, দ্যাখা হলো  দীর্ঘ অথবা স্বল্প আগামী তে, হয়তোবা কালই।
কি ঘটবে বলতো তাতে?
চূড়ান্ত নালেঝোলে মাখা আহাম্মকি কিছু করব আমি, বা তুইই কি?
দুই অজন্মা হাড়হাভাতে!

নাহ, মনের শরীর বয়স্কা হয়েছে রণ, নিপুণ শৈল্পিক দক্ষতা জন্মেছে আড়াল করার।
রাগ থেকে রিরংসা,
ক্ষোভ থেকে ক্ষিপ্ততা,
প্রেম থেকে অভিমান,
দাবী থেকে চাহিদা
সব সব সব...
আবডালে রাখি আমি।
মধ্যবিত্ত গৃহস্থের ঢলোঢলো গৃহিনী।
কোয়েলের মোড়কে হাড়গিলে গৃধিনী!

(তুই হেঁট মুন্ডু পায়ের নখে মাটি খুঁড়তিস আর আমি ঊর্ধমুন্ডু নারকোল পাতায় লটকানো মেঘের টুকরো গুণতাম।
তবু আমরা পরস্পর কে ছুঁয়েই রইতাম, নির্জলা তৃষ্ণা আর নিস্ফলা অঙ্গীকার আকণ্ঠ ধারণ করতাম, মনে আছে?)

(তোর লড়ঝড়ে সাইকেলটার মতোই আমাতে একচোখা ছিলি বড়ো, দুর্নিবার একরোখাও। ক্ষীর গুমোরে নাকের পাটা ফুলতো আমার, আবার  ঘাম জমতো তেলোতে তোর দস্যিপনার ডরে। মনে পড়ে?)

কিছু বললি?
নাতো?
তুইকি কিছু?
নাহ।...
...ভ্রাম্যভাষ স্তব্ধ।

...ওরা নিশ্চুপের বাক্যালাপে মগ্ন।
সব কথা কি ঠোঁট নেড়ে বলা যায়...

No comments:

Post a Comment