রবি ঠাকুর শোন,
গেলাম সেই যে গো, আমি তোমার গড়ে যেদিন।
সাথী বলতে ছিল কেবল মেঘলা আকাশ পিদিম।
ঢুকতে যেতেই না, যতেক গুঁফো ফটক সান্ত্রিদল
কাঁইমাই রবে বাধালো সে, কী বিরাট এক কোন্দল।
হা রে রে রে রে রে, দস্তুরমত তেড়েই এল তারা।
বললে ভাগ, নিকলো অভি, এখন দেখার সময় সারা।
আচ্ছা ঠাকুর, ওটি তোমার বাড়ি তো, না কি গারদ।
কারো কারোর যে মান না মান, চড়েই আছে পারদ।
অবিশ্যি দোষও বুঝি তাদের কি না তেমনতরও নয়।
কানুন যখন, তা সে নিয়মমাফিক খাটাবে তো নিশ্চয়।
কী আর করা, গুটিগুটি গাঙের দিকেই গেলাম।
নিজের মনরে কুটুর কুটুর বুকের দুখটা ক'লাম।
হাসতো দেখি বোকার হদ্দ খেপি গোমড়ামুখি।"
আকাশ পিদিম ফিসফিসিয়ে বললে চুপিচুপি।
"তিনি যখন তোমার ঠাঁয়ে ভিতর বুকের কোণে।
তুমি হাটুরে আজ ঘুরছ কিনা তাঁরই অন্বেষণে।"
"ওরে মুখ্যু, দালান ভেতর কেবল ঘরই আছে কটা
তোমার ভেতর তো স্বয়ং রবি, ঠাকুর আছেন গোটা।"
বুঝে নিলাম আমার রবি আমার সাথেই বাঁচেন।
জোড়াসাঁকো বোলপুরেতে ওঁদের রবি থাকেন।
...
জানো তো ঠাকুর, কাল গিয়েছে, আমি দিদিমণি,
হাসলে কেন, এই কথাটায়, হাসিটা কিসের শুনি?
ভাবছ হে পরমব্রহ্ম, এ দিগরে কতো পাগলই জোটে।
দিদিমণির মুক্তবেণী কক্ষনো কি পিঠের পরে লোটে!
সে যাক গে, আজ কে কেবল আসল কথা শোনো।
তোমার উপর লক্ষ থিসিস পার যদি, নাও গোনো।
তোমাকে রোজ পড়ায় কত তাবড় তাবড় স্যর।
ভুঁয়েতে লুটাই, সাষ্টাঙ্গে করি তাদের পায়ে গড়।
ক্লাসে যখন বইয়ের মাঝে তোমার পাতাটা খুলি।
পড়ুয়াদের আমি তোমায়, কেবল ছুঁয়ে দেখতে বলি।
আজকে আমার ইশকুলেতে রবি ও সৃজন স্মরণ।
বিজ্ঞ অজ্ঞ গুণী নির্গুণ, সবার সাদর নিমন্ত্রণ।
তুমিও এসো, কেমন?