Friday, May 25, 2018

ধুলোচাষ

তোমার প্রেরিত
মেঘ ছুঁয়েছে জন্মনদী,
আমার সম্পদমূল্য
চৈতন্যে রাখা জন্মদাগ।

বিলাসিনী বারিষ
বিলোল দিঠি জনপদবধূ,
কার্ষাপণ অপ্রতুল
আকণ্ঠ তিয়াসি ধুলোচাষ।

Monday, May 21, 2018

জার্নি

ঘামের জীবনেও জানেন, একের অধিক জার্নি থাকে।
রুট বদলালে এইসব জার্নিদের খানিক রকমফের ঘটে।

এই যেমন ধরুন না কেন,

কুলি মজুরের গাল গলা ঘাড় পিঠ নিংড়ে যা বেরোয় তা প্যাচপ্যাচে ঘাম।
এহ্, নাক চাপ!
উদ্ভিন্ন যৌবনার গাল গলা ঘাড় পিঠ ভিজিয়ে যা গড়ায় তা কমনীয় স্বেদ।
উফ্! ঠোঁট চাপ!

অসহায় কামনা গলে গলে পড়ছে। ঘাম ছুঁয়ে। অপ্রতিহত অলঙ্ঘ্য জান্তবতা।

হাসপাতালের রুগি বওয়া ট্রলিতে বসে ঘর্মক্লান্ত শীর্ণ সৌম্য ষাটের কোনও এক ঘর।
আহা! বড় ধকল!
বড় নির্ভেজাল আদরে চুলটা আঁচড়ে দিচ্ছে ঘর্মাক্ত ঋজু চনমনা বছর বিশেক।
বাহ! বড় নিটোল!

সম্বলিত আদর গলে গলে পড়ছে। ঘাম চুঁয়ে। স্বর্গছেড়া আকাঙ্ক্ষিত মনুষ্যত্ব।

বোঝা গেল এবারে নিশ্চয়?

ঘামের জীবনেও তাহলে, একাধিক হেঁটে যাওয়া থাকে।
পথ বদলালেও এ হেঁটে যাওয়ায়, কিছু বনফুল তো ফোটে। 

Saturday, May 19, 2018

কেন?

মাতালের ঘুমের মত অগোছালো অসংবেদী রাত।
ছুঁড়ে ফেলা প্লাস্টিকের এলোমেলো পায়রা উড়ান।
পিচখসা গলিপথে ইতিউতি হাঁটে নির্লিপ্ত বেড়াল।

রাস্তার আলোকসম্পাত রুগ্ন খুব।
বাড়িগুলোর প্রচ্ছায়া কদর্য  মায়াবী।

মাথার ভেতরে একটা বল গড়াচ্ছে।
গলার ভেতরে আরেকটা বল গড়াল।
বুকের ভেতরে একের পর এক বলের গড়ান।

জানলার পর্দা বড্ড ফিনফিনে।
যন্ত্রণার ঘর গোটাটাই ঝিল্লিময়।

তবু কেন দেখতে পায় না? 

Thursday, May 17, 2018

আপাততঃ

বর্ষণশ্রান্ত গোধূলি।
তারের টানটান শরীর ছুঁয়ে আছে মেঘগলা জল।
ছোট গল্পেরা জন্ম পেল ক্ষণিক মুকুরে।

ধারাস্নাত ছেঁচতলি।
তারের টানটান শরীর চুঁয়ে পড়ে মেঘগলা জল।
ছোট গল্পেরা মৃত্যু নিল আঙিনা জঠরে।

পিয়াস ও তিয়াসের অসমাপ্ত গল্প...
আপাততঃ এইটুকুই।

মা হওয়া...

কখনো কখনো অসংবদ্ধ গর্ভিণী গাভীর মত একলাটি হয়ে শোয় অন্যপূর্বা লাঞ্ছিতা সময়।
কাল-গর্ভে ধীর লয়ে এপাশ ওপাশ ফেরে অনাম্নী ভবিষ্যৎ।
সময় শ্রান্ত চোখে রোমন্থন করে নিকট কিম্বা দূরবর্তী ক্লিষ্টকায় অতীত।

পড়ে আসা নিদাঘী দুপুর নিদাগী করার চেষ্টা করে ফেলে আসা হৃদকমলের পাপড়ি।
ঝটকা বারিষ ছুঁড়ে ফেলে মেকী নির্লিপ্তির খোলস।
ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ শিল অসহিষ্ণু গড়ান দেয় মনে রাখার এ মাথা থেকে ও মাথা।

নিয়তি-নিদান সাথে অসম লড়াইয়ে অস্তিত্বের ভাগে সুষম বণ্টন হয় একমাত্র ঘেন্না আর ভয়।

তবুও

সমরে স্থৈর্যবতী
প্রত্যাখাত নারীত্ব।
সহনে দার্ঢ্যবতী
অনাগত মাতৃত্ব।

মা হওয়া কখনোই মুখের কথা নয়।

রবি ঠাকুর শোন,

রবি ঠাকুর শোন,

গেলাম সেই যে গো, আমি তোমার গড়ে যেদিন।
সাথী বলতে ছিল কেবল মেঘলা আকাশ পিদিম।

ঢুকতে যেতেই না, যতেক গুঁফো ফটক সান্ত্রিদল
কাঁইমাই রবে বাধালো সে, কী বিরাট এক কোন্দল।

হা রে রে রে রে রে, দস্তুরমত তেড়েই এল তারা।
বললে ভাগ, নিকলো অভি, এখন দেখার সময় সারা।

আচ্ছা ঠাকুর, ওটি তোমার বাড়ি তো, না কি গারদ।
কারো কারোর যে মান না মান, চড়েই আছে পারদ।

অবিশ্যি দোষও বুঝি তাদের কি না তেমনতরও নয়।
কানুন যখন, তা সে নিয়মমাফিক খাটাবে তো নিশ্চয়।

কী আর করা, গুটিগুটি গাঙের দিকেই গেলাম।
নিজের মনরে কুটুর কুটুর বুকের দুখটা ক'লাম।

হাসতো দেখি বোকার হদ্দ খেপি গোমড়ামুখি।"
আকাশ পিদিম ফিসফিসিয়ে বললে চুপিচুপি।

"তিনি যখন তোমার ঠাঁয়ে ভিতর বুকের কোণে।
তুমি হাটুরে আজ ঘুরছ কিনা তাঁরই অন্বেষণে।"

"ওরে মুখ্যু, দালান ভেতর কেবল ঘরই আছে কটা
তোমার ভেতর তো স্বয়ং রবি, ঠাকুর আছেন গোটা।"

বুঝে নিলাম আমার রবি আমার সাথেই বাঁচেন।
জোড়াসাঁকো বোলপুরেতে ওঁদের রবি থাকেন।
...
জানো তো ঠাকুর, কাল গিয়েছে, আমি দিদিমণি,
হাসলে কেন, এই কথাটায়, হাসিটা কিসের শুনি?

ভাবছ হে পরমব্রহ্ম, এ দিগরে কতো পাগলই জোটে।
দিদিমণির মুক্তবেণী কক্ষনো কি পিঠের পরে লোটে!

সে যাক গে, আজ কে কেবল আসল কথা শোনো।
তোমার উপর লক্ষ থিসিস পার যদি, নাও গোনো।

তোমাকে রোজ পড়ায় কত তাবড় তাবড় স্যর।
ভুঁয়েতে লুটাই, সাষ্টাঙ্গে করি তাদের পায়ে গড়।

ক্লাসে যখন বইয়ের মাঝে তোমার পাতাটা খুলি।
পড়ুয়াদের আমি তোমায়, কেবল ছুঁয়ে দেখতে বলি।

আজকে আমার ইশকুলেতে রবি ও সৃজন স্মরণ।
বিজ্ঞ অজ্ঞ গুণী নির্গুণ, সবার সাদর নিমন্ত্রণ।

তুমিও এসো, কেমন?

অভিসারের রং

অভিসারের রং জানো কি?
হ্যাঁ।
বলতো কী ?
নীল।

কোনও কোনও আগামীর পথ পাহাড়ী নদীর মত।
তার আঁকেবাঁকে অজস্র শামুক ঝিনুক বাড়ি থাকে, এ নিশ্চয় জানো?
হ্যাঁ।
দ্বার খোলা নেই কেবল ঘুলঘুলি হাট করে রাখা।
পথিকের প্রয়াস সর্পিল চলনে বিপ্রতীপ সহজ গতি আঁকড়ে, এও নিশ্চয় জানো?
হ্যাঁ।
পথের শেষের খবরাখবর কিছু কি রাখো?
না।
আমি বলি শোনো -
শেষে একটা পানিশঙ্খ ঘর থাকে।
কোনও একদিন শ্রান্ত সাঁঝের বেলা সেখানে চলে যেয়ো খুঁড়িয়েই সই, কেমন?
পিয়াস মিটিয়ে এসো।
...
স্রোতস্বিনী ঝামর ঝামর চলে, খলখলিয়ে বলে।
তার গমকে খাদ চড়া উপত্যকায় সে বিষম কানাকানি, এ নিশ্চয় জানো?
হ্যাঁ।
যোবনবতী পথচলতি ঝোরার ডাকে মিতালি পাতায়।
একবগ্গার মত ছুট দেয় সঙ্গ-মনের সাথে একাঙ্গী তীর্থে, এও নিশ্চয় জানো?
হ্যাঁ।
মোহনাকে সঙ্গম বলে না, এর ব্যাখ্যা কি রাখো?
না।
আমি বলি শোন -
সমদ্দুরের এতোল বেতোল চিরকালের। 
পৃথুলা গজগামিনীর নিয়তিনির্দিষ্ট নিশর্ত আত্মনিবেদনে কি ঝাপটানি আশ্লেষ থাকে?
নদীর বয়স হয়ে যায় যে।

যন্ত্রণার রং জানো কি?
না।
বলি, কী?
...
আমি বলি,
নীল।

তুমি কাঁদছ?

Tuesday, May 8, 2018

ওরা ওখানেই আছে...

আমাদের ছাদ দেওয়া ঘর নয়।

ঘরের চালের ঢাল লম্বা বারান্দার মাথার উপর দিয়ে ঝুঁকে পড়েছে উঠোনের এলাকায়, জাফরি কাজের বারান্দা লাগছে যেন আধ কপাল ঘোমটা দেওয়া কর্মরতা পাড়াগেঁয়ে গেরস্ত বউ।

ঘোমটার কিন্তু অনেক রকমফের হয়।

শউর ঘর হতে বাপের ঘরে যাওয়ার কালের ঘোমটা আর উল্টো পিঠে আসার ঘোমটা কিন্তু মোটেও এক নয়।
আবার ধান সেদ্ধ করার সময়কার ঘোমটার সাথে কাঁথা সেলাইয়ের সময়কার ঘোমটাতে ফারাক বেশ খানিক।

তাই বললাম কর্মরতা। সে ঘোমটা কিছু অন্যরকম কিনা।

ধ্যুস কী বলতে বসে কী বলতে লেগেছি!
যাক গে যাক, তা সেই ঘোমটায় গড়া হাসিমাখা মুখখানিতে ঠোঁটের ফাঁকে দাঁতের সারি উঁকি দিচ্ছে যেন এমন কটা নিকোনো ঝকঝকে সিঁড়ি।

সিঁড়ির আবার বিশেষত্ব আছে।

দু পয়সারই হোক কী দশ পয়সার, জমিদার বাড়ি হলেই পুষ্করিণী থাকবেই আর বলাবাহুল্য ঘাটও থাকবে। এইবার সেই ঘাটের কাঠামো মনের চোখে দেখে নিন।

সার সার সিঁড়ির দুই পাশে তাদের আগাগোড়া আগলানো ধাপে ধাপে বেঁটে পাঁচিল মতো আকৃতিদের ঠাহর করতে পারছেন? আমাদের ঘরে দুটোকটা সিঁড়ি থাকলেও, ওইরকম খুদে পাঁচিল আছে, তবে কিনা তা একপাশে।

জায়গাটা আমার ভারী প্রিয়।

পড়াশোনা করা এবং করানো যথাক্রমে আমার ও বাবার বিশেষ প্রিয় কোনও বিষয় নয়, যেটুকু করতে হবে মায়ের হস্তধৃত হিলহিলে পাঁচনের ডরে সেটুকু খুবসকালের পাঁচন গেলার মতো সেরে নিয়েই সিঁড়ি তে আসীন জনক দুহিতা।

গল্প, গল্প আর গল্প।

বাবা পইঠায় আর আমি পাঁচিলে পা ছড়িয়ে। কোলে মুড়ির বাটি।
যেদিন যেমন গল্প, সামনের আবছায়া মাখা উঠোন সেদিন তেমন সাথ দেবে।
অভিযান কালাহারি বা সাহারাতে , সে হয়ে গেল বালুময় মরুভূমি।
যুদ্ধ ওয়াটার্লু বা কলিঙ্গে, উঠোন ঘেরা গাছেরা সব সৈন্য দল।
এরকমই একদিন কল্পনায় সামনের আবছায়া মাখা চন্দন রঙা মাটি তখন মা গঙ্গা কারণ বাবা গল্প বলছে আকাশ গঙ্গার।

গুণ করা বলে একটা কথা আছে। বশীকরণ। আকাশ গঙ্গা আমায় বশীকরণ করেছে।

খেলতে গিয়ে চটজলদি "হুশ" হয়ে মাঠের মাঝে খাড়া আমি দাঁড়িয়ে থাকি মাথাটা প্রায় পিঠে নুইয়ে, খেলা সম্পর্কে বাস্তবিকই বে-হুঁশ। খেলুড়েরা রাগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারপর একলা ছেড়ে দেয় আমায়।

আমি সেই আলোময় ছায়াপথ খুঁজে ফিরি। চওড়া রাস্তা। ঘুমের মতো নির্ভার, ভরসার মতো মোলায়েম। আশ্বাসের মতো নিটোল। আমার খুব দরকার ওই পথে পৌঁছানোর পথটার হদিশ।

কেন?

আমার একটা নিশ্চিন্তিপুর আছে। অর্ধেক অর্ধেক রাখা। আমার বাবার বুক। মায়ের কোল। মুখ ডুবোলে স্কন্ধকাটা থেকে ভোঁদড় কারোর ভয় চোখে লেগে থাকে না।

কিন্তু, বাবার নেই।
আমি শুনেছি মাঝঘুমে তন্দ্রা হালকা হয়ে এলে বাবা মা কে বলছে কাকজোছনায়  বিজয় সরকারের, আব্বাসউদ্দীনের গান গেয়ে ঠাম্মার চিঁড়ে কোটার গল্প। ঘোর বর্ষায় চিত্রার পাড়ের বুকজল ঠেলে ঠাকুদ্দার ছোট ছেলেকে শুকনো ইশকুলে পৌঁছে দেওয়ার গল্প। মধুর আমার মায়ের হাসি গান খানা কোনও দিনই বাবা পুরোটা গায় না। থেমে যায়। আধখানা গান টলটল করে উদাসী চাওয়ায়।

মায়েরও নেই।
কালবোশেখির ঝঞ্ঝার শেষ দুপুরে, উলোটিপালোটি খায় গাছগাছালি, উপড়ে পড়ে শব্দ পাই। আমি শুয়ে থাকি কাঁথা জড়িয়ে মায়ের ওমে, মা বলে চলে কীভাবে দাদুর অকাল মৃত্যুদিনে এইভাবেই উপড়ে গেছিল কিছু গাছ, কিছু সম্পর্ক, কিছু সুস্থ সুন্দর ভবিষ্যৎ। ঝড় হয়েছিল, কিন্তু তা অদেখা। কেবল দাপটটা দেখেছে বহু বছর ধরে। অকারণেই বেশি করে আঁকড়ে ধরে আমায়। ঘুম পাড়ায়।

কতো মানুষের কতো খালি খালি জায়গা থাকে বুকের ভিতরে। হু হু করে হাওয়া বয়। মড়ার খুলির ভিতরে হাওয়া গললে আওয়াজ ওঠে শিঁ শিঁ। ওই খালি খালি জায়গাগুলোতেও অমন শব্দেরা ওড়ে। মানুষ ভয় পায়। তাই কাঁদে।

সতীন ঝেঁটিয়ে দেওয়া সন্ধ্যা পিসি কাঁদে। পেটে পুঁজ ভরা দীনু কাকু কাঁদে। তালাক পাওয়া পেট বাঁধানো আলেয়া কাঁদে। ধুতিতে বাহ্য করেও মালুম না পাওয়া ক্ষেপা গদাই কাঁদে।

আমি ঠাহর পাই।

এদের সবার জন্য ওই পথটা খুঁজে পেতেই হবে। যার যা হারিয়েছে, যার যা নেই, সব না কি ওই পথের বাঁকে বাঁকে জমা করা আছে। কালো কালো চোখ চলেনা ঘর সব। তাতেই বন্দি। ওই কাল কুঠুরিতে জব্দ হওয়ার আগে পথের নিশানা দিতে এখানে ওখানে জ্বালিয়ে গেছে আলোর মশাল। ওরা বসে আছে পিত্যেসে। কেউ আসবে। ওদের চিনবে। ফিরিয়ে নেবে।

কেউ যায় না।

কিন্তু সেখানে যে যেতেই হবে।
...
অ্যাস্ট্রোনমির কোর্স করাকালীন টেলিস্কোপে চোখ রেখে ফোকাস করতে করতে ছেলেবেলার আকুতি খুব মনে ভাসতো।
বোকার মতো ইচ্ছে করতো একবারটি দেখার।
যেখানে,
কেউ যায়নি।
কেউ যায়না কক্ষনো।

ওরা ওখানেই আছে।
আজও।

উপহার

বোধন হতে বিসর্জন এই হল অলঙ্ঘ্য শাশ্বতী।
মৃতবৎ পার করা মাঝের সময়টুকু কী এমন মহতী তাৎপর্য ঘাড়ে করে পথ চলে?
আদতে সপাট জবাব হল,
জীবন নির্বিকল্প এই হল অসূয়াবিদ্ধ অসহায়তা।
নানাবিধ অছিলায় তাকে নাব্য বানানোর বিবিধ ফিকিরকেই ভাববাদী ঠুলি বলে।

জন্মানোটা এক মস্ত বড় উপহাস।

নির্বিষাদী সোহমের আস্বাদ কোরক গোচর হবে
এমন ভাগ্যিমন্যি আশিস অধিকাংশেই পায় না।
কিন্তু যেমনই হোক না কেন,
নিজের বেঁচে থাকার সঙ্গে করে অন্তত এক বা
দুজনকে বাঁচিয়ে রাখার দায়টা কি বর্তায় না?

জন্মানোটা এক ছোট্ট মত উপহার।

জল আছে?

সব বাঁশি তে টান থাকে না।
কোনও কোনোটায় ভান থাকে।
সব চাওয়াতে প্রেম থাকে না।
কোনও কোনোটায় গেম থাকে।

তুই বলিস নিশিপদ্ম, ডেকেই দ্যাখ না, ডাক্ মনে।
তাই
নীলোৎপল ট্রাই করে, কিন্তু রুহ্ তার, খাক্ বনে।

সব চলা উদ্দেশে নয়।
কিছু চলা উদ্দেশ্যে হয়।
সব কথা প্রমিজ নয়।
কিছু কথা ভাঙারই হয়।

অ্যাকর্ডিং টু ইয়্যু মেঘরঞ্জনী, রুখা জিগর তৃপ্তি পায়।
কিন্তু
আমার স্বপ্নে স্বনন জাগায়, ক্লান্ত চোখের ক্লিষ্ট কায়।

অষ্টপ্রহর অবিশ্বাস।
মেঘেরা না খুব কষ্টে আছে...
সম্পর্কের নাভিশ্বাস।
বারিষের খুব তেষ্টা পেয়েছে...

কারো কাছে "জল" আছে?