এটা একটা স্রেফ কিছুমিছু। মণিকর্ণিকার কিছু ছবি দিয়েছেন Swati Sanyal স্বাতী সান্যাল। সেগুলো দেখেই এগুলো ওগরালাম আর কী!
"এ পিত্থিবির গভ্যের সবচে' আদরী ফসল ঝে ধান্য, তার টান জীবির জিভ ত্যাগ দিলি ভাববা সে জীবির শরীল ত্যাগ দেবার সময় এ্যসি গ্যেছে। আরও জোরালো গোপন টান দেছে তারে অন্য ভুবন। তারে যাতি হবে নে এইবেলা। চক্কু মুদলিই দুই ভুরুর মদ্যি কেডা ঝ্যান ফুকারি ফুকারি ওঠে,
'চল গো, নাও তৈয়ের, ঝা কিছু সত্যকার সঞ্চয়, ঝোলায় ভর আর এগোউ দেকি ঘাটের দিকি। কী কও? বলি যাবা? কারে কী বলি যাবা? এইডে করবা? ওইডে করবা? হা হা হা! অখন তো মণি তুমি মরবা! জিরোনের বেলাটুকুও আর নাই গো, বলা কওয়া থাকল আধসারা। লগিদে ঠ্যেল দে দেছে রে নাও, মাঝি সে নিঠুর নিয়তি পারা।'
জিভ আড় জুড়লো তো বোঝপা মরণও আড় ভাঙল।"
স্বাদকারক অসহায় ভবিষ্যদ্রষ্টা, সর্ব্বপ্রথম সে পায় আগত মৃত্যুর লবণাক্ত আঘ্রাণ।
ঈশ্বরীর কাঁখে চিতানির্বাণ কলস, জগৎ বেড় দিয়ে ঘেরে নির্ঘুম মণিকর্ণিকা মশান।
"মায়ার সমসার, বুঝলা মণি?
টান তারিরো বড় কম তো নয়, জেবন শিকলি ছিঁড়তি সে বহু ঝটাপটিই চলে জীবির করোটি আর পঞ্জরের। কিন্তু তারেও পরাস্ত হতিই হয় একসময়। প্রাণবায়ু ডগায় বেঁধোয় ভবিতব্য খঞ্জরের। তখন মাসমেদের শরীল ঘেরে জ্বলন্ত কাঠ আর আগুনের ছপটি পড়ে বাসনার শরীলে।
জীবাত্মা আর কী করে বল দিন্ বেচারা, আছাড়িপিছাড়ি খায় গতিপ্রাপ্ত আত্মজনের নিরালম্ব অস্তিত্বি। এই অ্যাতোটুক অ্যাতোটুক মিঠেকড়া কামনার সব ঘা খাওয়া টুকরোসকল কুচি কুচি ছিটকি পড়ে তেনাদের অশরীলে।"
বিদেহী পূর্বজ ধারণ করেন অনুজের অবোধ আকাঙ্ক্ষা, সার্থক হয় উত্তরপুরুষের সপিণ্ডকরণ।
অশান্ত চাহিদার গনগনে অগ্নি পথ অতিক্রম করে বায়ুভূক, জাগে অচঞ্চল শিখা নীল নির্বাণ।
"ফুলকি ওড়ে কেবল, অজস্র ফুলকি।
মনে লয় য্যান 'আকাশস্থ নিরালম্ব বায়ুভূক নিরাশ্রয়' রাশি রাশি আলোর পাপড়ি।
নিরুচ্চার তরঙ্গ ওঠে :
আমরা আছি গো, সব্বাই আছি, তোমাগের মধ্যিই আমরা বাঁচি।"
উত্তরপুরুষ ছায়া অপসৃয়মান, রাত বাড়ে, ঘুম আসে।
কেবল সৃজন জুড়ে এক দেদীপ্য শতদল জাগে।
"এ পিত্থিবির গভ্যের সবচে' আদরী ফসল ঝে ধান্য, তার টান জীবির জিভ ত্যাগ দিলি ভাববা সে জীবির শরীল ত্যাগ দেবার সময় এ্যসি গ্যেছে। আরও জোরালো গোপন টান দেছে তারে অন্য ভুবন। তারে যাতি হবে নে এইবেলা। চক্কু মুদলিই দুই ভুরুর মদ্যি কেডা ঝ্যান ফুকারি ফুকারি ওঠে,
'চল গো, নাও তৈয়ের, ঝা কিছু সত্যকার সঞ্চয়, ঝোলায় ভর আর এগোউ দেকি ঘাটের দিকি। কী কও? বলি যাবা? কারে কী বলি যাবা? এইডে করবা? ওইডে করবা? হা হা হা! অখন তো মণি তুমি মরবা! জিরোনের বেলাটুকুও আর নাই গো, বলা কওয়া থাকল আধসারা। লগিদে ঠ্যেল দে দেছে রে নাও, মাঝি সে নিঠুর নিয়তি পারা।'
জিভ আড় জুড়লো তো বোঝপা মরণও আড় ভাঙল।"
স্বাদকারক অসহায় ভবিষ্যদ্রষ্টা, সর্ব্বপ্রথম সে পায় আগত মৃত্যুর লবণাক্ত আঘ্রাণ।
ঈশ্বরীর কাঁখে চিতানির্বাণ কলস, জগৎ বেড় দিয়ে ঘেরে নির্ঘুম মণিকর্ণিকা মশান।
"মায়ার সমসার, বুঝলা মণি?
টান তারিরো বড় কম তো নয়, জেবন শিকলি ছিঁড়তি সে বহু ঝটাপটিই চলে জীবির করোটি আর পঞ্জরের। কিন্তু তারেও পরাস্ত হতিই হয় একসময়। প্রাণবায়ু ডগায় বেঁধোয় ভবিতব্য খঞ্জরের। তখন মাসমেদের শরীল ঘেরে জ্বলন্ত কাঠ আর আগুনের ছপটি পড়ে বাসনার শরীলে।
জীবাত্মা আর কী করে বল দিন্ বেচারা, আছাড়িপিছাড়ি খায় গতিপ্রাপ্ত আত্মজনের নিরালম্ব অস্তিত্বি। এই অ্যাতোটুক অ্যাতোটুক মিঠেকড়া কামনার সব ঘা খাওয়া টুকরোসকল কুচি কুচি ছিটকি পড়ে তেনাদের অশরীলে।"
বিদেহী পূর্বজ ধারণ করেন অনুজের অবোধ আকাঙ্ক্ষা, সার্থক হয় উত্তরপুরুষের সপিণ্ডকরণ।
অশান্ত চাহিদার গনগনে অগ্নি পথ অতিক্রম করে বায়ুভূক, জাগে অচঞ্চল শিখা নীল নির্বাণ।
"ফুলকি ওড়ে কেবল, অজস্র ফুলকি।
মনে লয় য্যান 'আকাশস্থ নিরালম্ব বায়ুভূক নিরাশ্রয়' রাশি রাশি আলোর পাপড়ি।
নিরুচ্চার তরঙ্গ ওঠে :
আমরা আছি গো, সব্বাই আছি, তোমাগের মধ্যিই আমরা বাঁচি।"
উত্তরপুরুষ ছায়া অপসৃয়মান, রাত বাড়ে, ঘুম আসে।
কেবল সৃজন জুড়ে এক দেদীপ্য শতদল জাগে।
No comments:
Post a Comment