Wednesday, July 17, 2019

ক্রূরভদ্র

বুকের ভেতরে যে ইয়াব্বড় পাঁচিলটা আছে ভাঙাচোরা পাঁজরগুলো বেড় দিয়ে, তার গা বোঝাই শ্যাওলা চিরে দুকলি মিঠে সুখী বুলির আঁচড় কাটতে গেলে ঠাহর হয়, এতে দিবারাত্র ঘাই ঠেলে ওঠে শোকের জল, দুঃখের জল।
কালাচ নীল জল।

সে শোকের ঝাপটা এড়িয়ে প্রত্যেকটি দিন পেরোনো ক্রমে ক্রমে এক একটি জগদ্দল গুঁতিয়ে এগোনো পারা, আর এরপরও সেসব প্রাপ্য প্রাপ্ত ঠেলেঠুলে একপ্রকারে দিন কাটানোর চেষ্টা পেতেই, তেতে-ফুঁসে ওঠে রাগের জল, ক্ষোভের জল।
গোখরো খয়েরী জল।

এই কেঁচো-যাপনের হাঁচোড়পাঁচোড়ে যত ঘাইগুঁতো খায় আত্মমর্যাদা নামক বেলোয়ারি ঝালর, যত নিলাজ টানাহ্যাঁচড়া চলে বেঁচে থাকা আর টিকে থাকার গেরস্তে, ততই পাঁজরের খাঁজ চুঁইয়ে ফিনকি গড়ায় ঘেন্নার জল, বিতৃষ্ণার জল।
বোড়া সবুজ জল।
...
এইবার
সমস্ত রকম ঘ্যানঘ্যানে কষ্টগুলোকে বস্তাবন্দী করে, ঘেঁটি ধরে এক্কেবারে বেড়াল পার করিয়ে আসি।
তারপর
বিষাল রস ও খল ঔরস মিলে যাক কুটিল গর্ভে, জন্ম নিক এক জান্তব জাতক- ক্রূরভদ্র যার নাম।

No comments:

Post a Comment