Wednesday, August 18, 2021

জন্মদাগ

 জলে ভেসে যায় ঐ থোড়ের ডোঙা, 

আতপত্রের ভাত―

ভারী করে তোলে এ ঘাটের বাতাস, 

সাঁঝ আগলায় রাত।

অল্প ছুঁয়েছে যে মালসার কানা, 

সে স্বাদ বইছে জল―

ধূপধোঁয়া জ্বলামোমেরে শুধোয়,

যাওয়াটা জরুরী, বল?


পাঁজরের বেড়া ঘাই ঠেলে তোলে, 

চেনা সম্বোধনের বোল―

ফুকরে ওঠে যত অস্ফূট ডাক, 

এল জবাব – কলরোল।


তারার ভূমে অপারবাসী অনন্তপল জাগ।

তুমি মেখে নিলে যেটা ছাইয়ের ছৈয়ে, 

তা আমার জন্মদাগ।

আলো আসবেই

 গাঢ় নীল মেঘের তাড়নায় কাঁসার সানকি ষোলকলাটি আড়াল হচ্ছে, হ্যাঁ রয়ে রয়েই।

অলকানন্দার শ্রান্ত শরীরটায় বাতাসের তীক্ষ্ণ ঝাপটা ধাক্কা মারছে, তাও ফিরে ফিরেই।

স্বস্তির নিশ্বাসখানা বুকের খাঁচাখানা নির্ভার করতে গিয়েও, থমকে থেমে যাচ্ছে।


ঝমঝমিয়ে নামছে , ভারী দানার জল।

থমথমিয়ে উঠছে, গত তাণ্ডবের স্মৃতি।


সমস্তের পরেও মস্তিষ্কের প্রতিটি স্নায়ু কেবল আঁকড়ে ধরে আছে এক জোড়া শব্দ।


আজ

অবতরণ দিবস।


আলো আসবে। আসবেই।