মরণ ও অন্যান্য।
এক
মৃত্যু আমাদের চারপাশে পায়চারি করে। আসে যায়, ফের আসে যায় ফের...
সাধারণের জমাট শোকের উঠোন বাগান রবি বাবুর সেই গন্তব্যাভিমুখী রেলপথের পাশের অনবরত অপসৃয়মান মাঠচত্ত্বরের মত উদাসী জোৎস্নায় ভাসে না। আবলুশের পারা অন্ধকার গিলতে আসে তাদের। তাঁর মত সংহত চিত্ত, স্থৈর্য, অন্তর্দৃষ্টি এবং গভীর সত্যোপলব্ধিও সকলের থাকে না। তবে এই ছাপোষা গেরস্তের বুকভাঙা অবুঝ শোক গলানোর উপায় কী?
নদী।
নদী না মেলে তো খাল বিল যেকোনো জলাশয়। গভীর ও ছলছল, নির্বাক ও সবাক।
আসলে জল। অনেকটা, অনেকটা জল। একইসঙ্গে অনেকখানি বিছিয়ে থাকা ও অনেকখানি রিক্ততা। গহীন ঘন চলিষ্ণু বুকের উপরে দিগন্ত স্পর্শী শূন্যতা প্রসারে জলাশয় আমার আপনার মত আকস্মিকতায় থতিয়ে গুম পাঁচপেঁচিকেও তিরিতিরি ভাবনার ঢেউ দেয়। নিজেদেরই অনবধানতায় স্বজনহৃত আমরা আগল খুলে দেই শোকগ্রস্ত বুক কপাটের। হুহু করে উথলে আসে শোকেদের শ্রাবণী ঝোরা। মনের দোর পেরিয়ে ওই, ওই জলের ঘরে দোরে উঠোনে শ্রান্ত গা এলায় তারা।
ভারী থেকে আরও ভারী হয়ে চলা মনের ভার গড়াল দেওয়া কাঁসার ঘড়ার চলনে গড়িয়ে যায় নিঃসাড়ে।
এক সময় বুঝতে পারি, যে গেছে, সে গেছেই। পায়েলের আংটা ছুটে গেছে তার বরাবরের মত। হারে পাশায় বাজু আর নাকফুলে জড়িয়ে মড়িয়ে বেঁচে থাকার দলভুক্ত এখনও আমরা কয়জনা এপারে দাঁড়িয়ে আছি অদেখা কিন্তু অনুভূত একাধিক পায়ের মলের ঝিনিঝিনির তীব্র টানে। অলঙ্ঘ্য নয় কিন্তু আপাতত দূরতিক্রম্য সেই অলীক বীথি সরে সরেই রয়ে গেল আপাতত।
আর এদিগরে রোজনামচার সাপ লুডো ছকে ঘরগুলোতে রয়ে গেছে যারা, মন বুঝ মানে, ঘরে ফিরতে হবে তাদেরই আগলাতে।
এক
মৃত্যু আমাদের চারপাশে পায়চারি করে। আসে যায়, ফের আসে যায় ফের...
সাধারণের জমাট শোকের উঠোন বাগান রবি বাবুর সেই গন্তব্যাভিমুখী রেলপথের পাশের অনবরত অপসৃয়মান মাঠচত্ত্বরের মত উদাসী জোৎস্নায় ভাসে না। আবলুশের পারা অন্ধকার গিলতে আসে তাদের। তাঁর মত সংহত চিত্ত, স্থৈর্য, অন্তর্দৃষ্টি এবং গভীর সত্যোপলব্ধিও সকলের থাকে না। তবে এই ছাপোষা গেরস্তের বুকভাঙা অবুঝ শোক গলানোর উপায় কী?
নদী।
নদী না মেলে তো খাল বিল যেকোনো জলাশয়। গভীর ও ছলছল, নির্বাক ও সবাক।
আসলে জল। অনেকটা, অনেকটা জল। একইসঙ্গে অনেকখানি বিছিয়ে থাকা ও অনেকখানি রিক্ততা। গহীন ঘন চলিষ্ণু বুকের উপরে দিগন্ত স্পর্শী শূন্যতা প্রসারে জলাশয় আমার আপনার মত আকস্মিকতায় থতিয়ে গুম পাঁচপেঁচিকেও তিরিতিরি ভাবনার ঢেউ দেয়। নিজেদেরই অনবধানতায় স্বজনহৃত আমরা আগল খুলে দেই শোকগ্রস্ত বুক কপাটের। হুহু করে উথলে আসে শোকেদের শ্রাবণী ঝোরা। মনের দোর পেরিয়ে ওই, ওই জলের ঘরে দোরে উঠোনে শ্রান্ত গা এলায় তারা।
ভারী থেকে আরও ভারী হয়ে চলা মনের ভার গড়াল দেওয়া কাঁসার ঘড়ার চলনে গড়িয়ে যায় নিঃসাড়ে।
এক সময় বুঝতে পারি, যে গেছে, সে গেছেই। পায়েলের আংটা ছুটে গেছে তার বরাবরের মত। হারে পাশায় বাজু আর নাকফুলে জড়িয়ে মড়িয়ে বেঁচে থাকার দলভুক্ত এখনও আমরা কয়জনা এপারে দাঁড়িয়ে আছি অদেখা কিন্তু অনুভূত একাধিক পায়ের মলের ঝিনিঝিনির তীব্র টানে। অলঙ্ঘ্য নয় কিন্তু আপাতত দূরতিক্রম্য সেই অলীক বীথি সরে সরেই রয়ে গেল আপাতত।
আর এদিগরে রোজনামচার সাপ লুডো ছকে ঘরগুলোতে রয়ে গেছে যারা, মন বুঝ মানে, ঘরে ফিরতে হবে তাদেরই আগলাতে।
No comments:
Post a Comment