Monday, April 23, 2018

#নিলাজীরজীয়নকথা১

#নিলাজীরজীয়নকথা১
বাঁশিদেওয়া গঞ্জে বাস করতাম, তা সে এক বিশ বাইশ মতো বয়সে। আজ অতিবৃদ্ধে তারে নিয়েই, দুটি কথা বলার আর্জি দেয়সে।

কী শুধোচ্ছেন পাছে পাছে? সে গাঁ খানা কোথায় আছে?

আরে মশয়, যে নদী বয়ে গিয়েছে ফাঁসীদেওয়া গাঁয়ের বউ ঝি দের সিনান আরশি হয়ে, ধরেন কেন, তারই সতীন কুলকুলিয়ে বয়, এই বাঁশিদেওয়ার উঠোন পড়শী হয়ে।

তালে বুঝলেন কিনা কোথায় সাকীন এই গঞ্জ খানার? এবারে আসি কারণ খুঁজতে কেন এমন নামের বাহার।

এগাঁয়ে যে কেউ বিয়ে করে বউ আনুক, বা যাক মেয়েরা বরের সাথ, উপহারে একটি করে বাঁশি দেওয়া, হবেই হবে তাদের হাত।

নিলাজবতী এই গঞ্জের, একদা এক মস্তবড় ধনীর পুতি। তবে কিনা হালআমলে বাড়ন্ত ভাঁড়ে, একটি কেবল পিদিম জ্যোতি।

ঠাণদি আর বেকার গোমস্তা, দিনরাত্তির আগলে রাখে। এমন সৃষ্টিছাড়া মেয়ের ভালে, কী যে আছে ভাবতে থাকে।

অমনধারা কেন বললাম, নিশ্চয়ই হচ্ছেন কৌতূহলী?
আজ তো মেলাই রাত হয়েলো, সে নাহয় কালকে বলি?

No comments:

Post a Comment