Friday, June 28, 2019

হাসিটা...

অজস্র বাঁকাচোরা রক্তবাহী ভর্তি মাছধোয়াজল-রঙা স্কেলা আর মাঝখানে ঈষৎ বাদামী আইরিশ , চোখে পড়লেই এমন চোখ, বিদ্যুত স্পর্শে ঝিনঝিন করে ওঠে কপালের দুপাশ।
কাশির দমকে কাঁপছে গলার পাশ থেকে কিছুটা সরে কাঁধের মাঝবরাবর শোয়ানো পৈতে আর সামান্য ঠেলে ওঠা চওড়া পিঠ, দৃষ্টি আটকালেই এমন শরীর ভাগ , ঢেঁকির পাড় দেয় বুক।
অস্বাভাবিক উঁচিয়ে জেগে থাকা কণ্ঠমণি আর দুই ক্ল্যাভিকলের মধ্যেকার ছোট্ট গভীর গর্ত, নজরে এলেই এমন গলা, শুকনো খুলির ভেতরে ছোটাছুটি করা হাওয়া শিঁ শিঁ ডেকে নাক কানের ভেতর বাইরে বয়।

শীত জাগে। খুব। গলায় ব্যথা ওঠে। খুব।

পরিশিষ্ট :
হাসিটা কিছুতেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। কিচ্ছুতে না।

Sunday, June 2, 2019

একই কি?

যে স্বপ্নবাঞ্ছা জীবন বাঁচা হয়নি এবং হবেই না জেনে ফেলাটা হয়ে গিয়েছে নিশ্চিত, সে মধ্যে মধ্যে ডাকাডাকি জোড়ে ডাকনাম ধরে।
বোল মোহনিয়া।

দেউড়ি চৌকি দেয় শক্ত ঠোঁটের স্বভাব যাযাবর।
বাজুবন্ধ খুল্ খুল্ যায়।
হ্যাঁচকা কালা-বদর।

একজোড়া খরখরে চোখের টংএ রাখা বেভুলমনস্ক ভুরুর জ্যামিতিতে আঁচড় পরে, ছাতার ভাঙা শিক আরও এক গাঁট ভাঙন সয়।
টান দীঘলিয়া।

আজন্ম কাঙ্ক্ষিত প্রবাহে চড়ে বসি জন্মের শোধ ।
ম্যায় চলি পিয়াকে দেশ।
সম্বল কলার বাসনা।

বকের পাখা আর অঙ্ক কষতে বসা খাতা, দুইই শাদা। কিন্তু, একই কি?